সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ ২০২৪

এখন আমরা আলোচনা করব সিজারের পর ইনফেকশন লক্ষণ সমূহ নিয়ে। আমাদের বিভিন্ন সচেতনতার কারণে সিজারের পর কাঁটা স্থানে ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে । এবং এটি মারাত্মক হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কিভাবে সিজারের এর লক্ষণ গুলি বুঝবেন তা জেনে নিন।

সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ

বর্তমানে বাংলাদেশের সিজারের রোগীর সংখ্যা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যেগুলো  ইনফেকসনের  কারনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই আজ আমরা কিভাবে সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ দেখা দেয়? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।

সিজারে পর ইনফেকশনে ৬ টি লক্ষণ

বর্তমানে যাদের সিজার করে ডেলিভারি করানো হয়, তাদের একটি সমস্যা হতে পারে সেটি হলো সিজারের কাটা জায়গায় ইনফেকশনের সমস্যা। এটি বিশ্বাস করে অধিকাংশ নারী ক্ষেত্রেই দেখা দেয়। তাই যদি আপনার সিজারের কাটা স্থানে ইনফেকশন হয় তাহলে কিভাবে বুঝবেন? তা আজ আমরা এ আর্টিকেল এর মধ্যে বলব। চলুন তাহলে জেনে নি।

  • ১.সিজারে পর যদি দেখেন আপনার কাঁটাস্থান গুলি দিন দিন ফুলে যাচ্ছে, এবং প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হচ্ছে। তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কারণ সেখানে ইনফেকশনের কারণে এই সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
  • ২.যদি দেখেন যে আপনার সিজারের কাটা স্থানে বিভিন্ন ধরনের পানি, রস এবং পুঁজ বের হয়, তাহলে আপনি ধরে নিবেন যে সেখানে ইনফেকশন হয়েছে। যদি এই সমস্যাটি দেখা দেয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। যদি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ না নেন তাহলে এটি মারাত্মক হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  • ৩.যদি আপনার সিজারে কাঁটা স্থানে ইনফেকশন দেখা দেয় তাহলে আপনার প্রসব করার সময় প্রচন্ড পরিমাণে যন্ত্রণা হবে। এবং ব্যথা অনুভব হবে। তাই যদি আপনার প্রসাবে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বুঝে নিবেন যে আপনার কাঁটা স্থানে ইনফেকশন দেখা দিয়েছে।
  • ৪.যদি আপনার সিজারের কাটা স্তনে ইনফেকশন হয় তাহলে পা ফুলে যাওয়া থেকে শুরু করে মাসিকের রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তরল পদার্থ বের হবে। যদি এসব লক্ষণগুলি দেখতে পান তাহলে বুঝে নিবেন যে আপনার কাঁটা স্থানে ইনফেকশনের সমস্যা হয়েছে।
  • ৫.যদি দেখেন যে আপনার সিজারের কাঁটা স্থানটি লাল হয়ে গেছে, এবং প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা করছে তখন আপনি বুঝে নিবেন যে আপনার কাঁটা স্থানে ইনফেকশন হয়েছে।
  • ৬.যদি দেখেন যে আপনার বুকে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা সৃষ্টি হয়েছে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কারণ এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াটা অনেক ভালো হবে, আপনার জন্য।’

আরো পড়ুন =বন্ধুদের নিয়ে ১৪০০+ স্ট্যাটাস,ক্যাপশন,Fb friend status Bangla

কাঁটা স্থানের যত্ন নেয়ার নিয়ম

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কাটা স্থানের যত্ন নিতে জানে না। এজন্য তাদের কাঁটা স্থানের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমন ইনফেকশন ,পেকে যাওয়া, আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। তাই আজ আমরা বলবো যে কাঁটা স্থানের কিভাবে যত্ন নিলে কাটা স্থান তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। চলুন তাহলে জেনে নিন।

  • যদি আপনি কাঁটা স্থানগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল ভাল পোশাক পরিধান করতে হবে। এমন পোশাক পরিধান করবে না, যে পোশাকে প্রচন্ড পরিমাণে জীবাণু রয়েছে। এবং যে পোশাক একবার ব্যবহার করবেন সেই পোশাকটি দ্বিতীয়বার ব্যবহার করার আগে ধুয়ে নিবেন।
  • কাঁটা স্থানের পর কোন ভাবে আপনি সাবান ব্যবহার করবেন না। যদি কাটা স্তনের উপর সাবান ব্যবহার করেন তাহলে এটি ইনফেকশন তৈরি করতে সাহায্য করে। এবং এই ইনফেকশন থেকে আপনার মৃত্যুর দিকে চলে যেতে পারেন। তাই কাঁটা স্থানে কোনোভাবেই সাবান ব্যবহার করবেন না।
  • সিজার করার পর কোনভাবেই নোংরা ও জীবাণো হাতে সে কাটার উপরে হাত দেওয়া যাবে না। যদি আপনি সে কাটার উপর নোংরা হাতে হাত দেন সেখানে যদি জীবাণু প্রবেশ করে, তাহলে সেখানে ইনফেকশন দেখা দিবে। এবং পরবর্তীতে এটি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। তাই যদি ক্ষতস্থানে হাত দিতে হয় তাহলে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে নেবেন ডেটল দিয়ে।
  • কোন সিজারের রোগীকে কোনভাবে নোংরা জায়গায় রাখা যাবে না। এবং অপরিষ্কার জায়গায় রাখা যাবে না। যেখানে বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনা এবং পোশাক আশাক নোংরা থাকে সেখানে কোনোভাবেই রোগীকে রাখা যাবে না। যদি আপনারা সেখানে রোগীকে রাখেন তাহলে তার কাটা জায়গায় ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রোগীকে পরিষ্কার জায়গায় রাখতে হবে।
  • আপনারা চেষ্টা করবেন যে কাটা স্থানে স্যাভলন অথবা বিভিন্ন ধরনের কাঁটাস্থান পরিষ্কার করা লিকুইড ব্যবহার করেন । এবং আরেকটি কথা হলো যে কাঁটা স্থানে ঘন ঘন হাত দিবেন না ।এতে সেখানে রোগ জীবাণু প্রবেশ করতে পারে, এবং ইনফেকশন তৈরি করতে পারে।

সিজারে কাটা শুকানোর জন্য কোন খাবার খাওয়া উচিত?

আমরা সিজার করে নিয়ে আসার পর যে ভুলটি করে থাকি সেটি হল রোগীকে ভালোমন্দ না খাওয়ানো। যদি কোন সিজার করা রোগী হয় তাহলে তাকে ভালো মন্দ খাওয়াতে হবে। যেমন ফলমূল। ফলমূলের মধ্যে যেসব ফলমূল ভিটামিন সি যুক্ত রয়েছে সেগুলোকে খাওয়াতে হবে। যেমন কমলা, মালটা ,লেবু, দুধ, ডিম ইত্যাদি এগুলো খাওয়াতে হবে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষ বলে থাকে যে সিজারের পর দুধ খাওয়া যাবে না। এই কথাটি একেবারে ভুল। সিজারের পরপরই যদি আপনারা হালকা কুসুম কুসুম গরম দুধ রোগীকে খাওয়াতে পারেন তাহলে এটি রোগের জন্য খুব ভালো হয়।

এবং যদি আপনারা রোগীকে সিজারের পর কালোজিরা খাওয়াতে পারেন তাহলে এটি সব থেকে বেশি ভালো হয়। কারণ কালোজিরার উপকারিতা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এটি আপনারা google এ সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন, প্রায় 40টির ওপরে উপকারিতায় রয়েছে এই কালোজিরার।

রোগীকে ভিটামিন যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। যেমন কবুতরের বাচ্চা অথবা মুরগির বাচ্চা এগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।তার সাথে অবশ্যই লেবু খাওয়াতেই হবে। লেবু খাওয়ানোর ফলে আপনার কাঁটাস্থান দ্রুত শুকিয়ে যাবে। তাই যদি রোগীকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করতে চান তাহলে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

সিজারের পর রোগীকে যেসব খাবার খাওয়ানো যাবে না

সিজারের পর ইনফেকশন এর লক্ষণ

সিজারের পর আপনারা রোগীকে বিভিন্ন ধরনের খাবার দিবেন না। এতে রোগীর সমস্যা হতে পারে ।কোন কোন খাবার দিবেন না তা আমরা এখন আপনাদেরকে বলবো। প্রথমে যে খাবারটি রয়েছে সেটি হল তে লোক জাতীয় খাবার কোনভাবেই দিবেন না। অথবা ভাজা পড়া জাতীয় খাবার রোগীকে না খাও নাই ভালো। কারণ ভাজাপোড়া খাওয়ানোর পেটে অ্যাসিটিক সমস্যা হতে পারে। এবং সেই এসিডিটি থেকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। 

কোনভাবে চা, কফি ইত্যাদি এগুলো খাওয়াবেন না। এগুলো খাওয়ানোর পরে রোগীর বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। এবং যখন আপনারা যে কোন তরকারি খাওয়াবেন তখন চেষ্টা করেন মসলার সর্বনিম্ন পরিমাণে দিয়ে খাওয়ার। কারণ মসলা এটি পেটে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে ।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

আরো পড়ুন =-২০০+ শীত নিয়ে রোমান্টিক স্ট্যাটাস, উক্তি ,কাবিতা, ক্যাপশন ২০২৪

সিজারের পর ব্যথা কতদিন থাকে

সিজারের পর ব্যথা কারো কারো ক্ষেত্রে সাত দিন থাকে। এবং কারো কারো কাছে দশ দিন থাকে। যদি সিজারে পর দেখেন যে আপনার ব্যথা ১০ দিনের ওপর হয়ে যাচ্ছে তাও ভালো হচ্ছে না, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবং চিকিৎসক তা খতিয়ে দেখবে যে আপনার সমস্যা কি? যদি আপনার ব্যথা ১০ দিনের উপরে হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন।

সিজারে পরে ইনফেকশন কেন হয়?

বিভিন্ন অসচেতনতার কারণে আমাদের এই সিজার ফর ইনফেকশন দেখা দেয়। যেমন কোন ব্যক্তি যদি অপরিষ্কার হাতে সে সিজার রোগী ওপর স্পর্শ করে , এবং যদি তার হাতে জীবাণু থাকে এবং সেই জীবাণুগুলো যদি কাটা স্থানে চলে যায় তাহলে সেখানে ইনফেকশন হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। এবং রোগী যেই রুমে থাকবে সেই রুম যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না হয় তাহলে সেই রোগীর কাঁটা স্থানে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

এবং যদি কোন রোগী বারবার তার কাটা স্থানে উপর হাত দেয়, এর ফলে যদি তার হাতে জীবাণু থাকে, তাহলে এটি দ্রুত তার কাটা স্থানে ইনফেকশন হতে সাহায্য করে। এবং যদি কোন অপরিষ্কার কাপুর ব্যবহার করা যায় তাহলে কাঁটা স্থানে ইনফেকশন হতে পারে। তাই যদি আপনার ইনফ্যাকশন থেকে বাঁচতে চান তাহলে এই টিপসগুলো মেনে চলতে পারেন।

সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয়

যদি কোন রোগীর সিজারের পর ইনফেকশন হয় তাহলে তার বিশেষ কয়েকটি করণীয় রয়েছে। বর্তমানে আমাদের এই দেশের সিজারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে অনেক মা মৃত্যুর মুখে চলে যাচ্ছে। কারণ সেই কাঁটা স্থানে ইনফেকশন হয়ে যাওয়ার কারণে্। তাই চলুন আমরা জেনে নেই সিজারের পর ইনফেকশন হলে করণীয় গুলো কি কি?

  • যদি কারো ক্ষেত্রে সিজারের পর ইনফেকশন দেখা দেয় এবং এর লক্ষণ গুলো বুঝতে পারেন, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। এবং যত সম্ভব আপনার সেখানে ভায়োডিন অথবা ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করবেন। কোনোভাবেই কাটা স্তানের উপর হাত দিবেন না।
  • যদি কোন সিজার রোগী ইনফেকশন দেখা দেয় তাহলে দ্রুত তাকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। তারমধ্যে হলো লেবু, কমল লেবু ইত্যাদি এসব খাবার খাওয়াতে পারেন। যেগুলো খাওয়ার ফলে তাড়াতাড়ি ক্ষতস্থান শুকিয়ে যাবে।
  • যদি সিজারের রোগীর কাঁটাস্থানে ইনফেকশন এর লক্ষণ গুলো দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই তাকে বেশি পরিমাণে পানি খাওয়াবেন। কারণ তার প্রসাব টা ঠিক রাখতে হব ।তাহলে রোগের জন্য ভালো হবে।
  • যদি সিজারের জায়গায় ইনফেকশন এর লক্ষণ গুলি দেখা দেয় তাহলে সেখানে কোনোভাবে হাত দিবেন না। কারণ হাতে থাকা জীবাণু যদি সেই কাটার পর দেন তাহলে সেটি আরো মারাত্মক হয়ে দাঁড়াবে।
  • যদি সিজারের রোগীর কাঁটাস্থানে ইনফেকশন দেখা দেয় তাহলে সেখানে কোনোভাবেই সাবান ব্যবহার করবেন না। কারণ সাবান ব্যবহার করার ফলে ইনফেকশনের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায় ?

আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে যারা সিজারের কিছুদিন পর পরে ভারী কাজে লিপ্ত হয়ে যায়। এবং তাদের কাটার স্থানটি প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা সৃষ্টি হয়। এর ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। সিজারের পর ভারী কাজ করার নিয়ম হলো যে ৬ থেকে ৭ মাস পর।

যদি কোন ব্যক্তি সিজার করার ৬ থেকে ৭ মাস পর ভারী কাজ করে তাহলে তার কোন ধরনের সমস্যা হয় না। এবং যদি কোন ব্যক্তি এক থেকে দুই মাসের মধ্যেই ভারী কাজ করা শুরু করে, তাহলে পরবর্তী তার ব্যাথাটি থেকে যেতে পারে। এবং সেখানে পরবর্তীতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

সিজারের কতদিন পর জার্নি করা যায়

সিজারের কতদিন পর জার্নি করা যায়? এটি আমাদের সকলের জেনে থাকা উচিত। কারণ আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা যে ভুলটি করে থাকে সেটি হল সিজারের কিছুদিনের মধ্যেই তারা বিভিন্ন বাস, সিএনজি, রিকশায়, ইত্যাদিতে চড়ে।

এবং যাতায়াত করে। এর ফলে তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।তাই আমাদের প্রত্যেকটি মানুষের সিজারের কতদিন পর জার্নি করা যায়? সেটি জেনে থাকা উচিত। যদি আমরা এ বিষয়ে লক্ষ্য করি তাহলে আমাদের সমস্যা তেমন হবে না। নয়তো এটি ইনফেকশন এর মত সমস্যা পরবর্তীতে তৈরি করতে পারে।

আমাদের পাশের গ্রামের একজন সিজারের রোগী ছিল। এবং সে সিজারের 15 থেকে 20 দিনের মধ্যেই জার্নি করা শুরু করেছিল। এতে করে তার কাটার বা ক্ষতস্থান আস্তে আস্তে ব্যথা সৃষ্টি হয়। এবং এ ব্যথা থেকে পরবর্তীতে এটি সিজারে ইনফেকশন এর মতো সমস্যা তৈরি হয়।

এ কথাটি আপনাদের উদ্দেশ্যে একটি বলার কারণ হলো যে সিজারের পর সর্বনিম্ন তিন থেকে চার মাস পর জার্নি করাটাই ভালো। এবং বিভিন্ন ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকে। বিশেষ করে ৬ মাস হলে একটু বেশি ভালো হয়। তাই তিন থেকে চার মাসের আগে কোনভাবেই জার্নি করা যাবে না।

সিজারের পর শোয়ার নিয়ম

সিজারের পর শোয়ার নিয়ম

সিজারের পর শোয়ার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। যদি আপনারা এই নিয়মগুলো ফলো করেন তাহলে আপনাদের পেটের ব্যথা দূর হবে।আমরা সকলেই জানি যে কোন সিজারের কাটা এটি প্রচন্ড পরিমাণে যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে, এবং এটি যদি পেট হয় তাহলে খুব মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায়।

কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন যদি আপনারা সব কিছুর একটি নিয়ম মেনে চলেন তাহলে এসব সমস্যার সমাধান পাবেন। যেমন শোয়ার নিয়ম গুলো যদি জানেন তাহলে পেটের উপর চাপ পড়বে না, এবং সে ক্ষেত্রে পেটের ব্যথা বৃদ্ধি পাবে না। তাই আমাদের সকলেরই সিজারের পর সোয়ার নিয়ম জানতে হবে। চলুন জেনে নি।

  • যদি আপনি সিজারের রোগী হন তাহলে এক পাশ হয়ে শোবেন। অর্থাৎ যেদিকে কাটা রয়েছে তার বিপরীত দিক হয়ে সুবেন এতে করে আপনি আরাম অনুভব করবেন।
  • আপনার পেটের কাঁটা স্থানে চাপ কমাতে আপনার পা গুলিকে একটি বালিশের উপর রাখতে হবে। এতে করে পেটের উপর চাপ কম পড়বে এবং পেটের ব্যাথা হবে না।
  • যদি আপনি সিজারের রোগী হন তাহলে পেট উপর দিক করে এবং মুখ উপর দিক করে শুবেন। এক্ষেত্রে আপনার আরামদায়ক লাগতে পারে। এবং যদি আরো ভালো ফলাফল পেতে চান তাহলে কাটার বিপরীত দিক অথবা কাটার দিক হয়ে পা গুলো বুকের দিকে নিয়ে এসে এবং পিঠের দিকে একটি বালিশ দিয়ে রাখতে পারেন।সে ক্ষেত্রে পিঠের ব্যথা হাঁটুর ব্যথা এবং আপনার শোয়ার সময় আরামদায়ক অনুভব করবেন।
  • যদি আপনার কাটা স্থানে চাপ কমাতে চান তাহলে আপনার একটি শোয়ার নিয়ম মানতে হবে।সেটি হল আপনারা আপনাদের পিঠের তলে সবার সময় একটি পাতলা বালিশ দিতে পারেন। এবং হাঁটুর কাছে একটি বালিশ দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাদের কাঁটা স্থানের চাপ কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আরো পড়ুন = ইমোশনাল ক্যাপশন বাংলা, উক্তি, স্ট্যাটাস ১৯৯+

সিজারের পর সবার অতিরিক্ত নিয়ম, রয়েছে। যদি আপনারা এই নিয়মগুলো মানতে পারেন তাহলে দ্রুত আপনার ক্ষতস্থান সেরে যাবে। এবং আপনি আরামদায়ক অনুভব করবেন। চলুন তাহলে সিজারের পর শোবার অতিরিক্ত নিয়ম জেনে নি,

  • আপনার ঘরে একটি নরম বিছানা রাখুন।
  • আপনার ঘরে একটি নরম বালিশ রাখুন।
  • শুয়ে থেকে উঠার সময় কাটা স্থানে ভালোভাবে হাত দিয়ে উঠুন।
  • সবার সময় অবশ্যই আস্তে আস্তে শুবেন।
  • ওঠার সময় আস্তে আস্তে উঠবেন।

সিজারের পর কাশি হলে করণীয় কি

সিজারের পর কাশি হলে করণীয় কি

সিজারের পর কাশি হলে করণীয় কি এটি আমাদের সকলের জেনে থাকা উচিত। কারণ এটি প্রায় অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা হয়ে যায় যে সিজারের পর কাশি তৈরি হয়। যদি আপনার সিজারের পর একটি কাশি সৃষ্টি হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

কারণ সিজারের পর কাশি হলে এটি মূলত শ্বাসকষ্ট বা রক্ত জমাট বাধা এর মত সমস্যা কারণে হতে পারে। তাই দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিওয়া ইচিত। তারা খতিয়ে দেখবে যে কি কারণে কাশিটি হচ্ছে এবং নিশ্চিত হওয়া উচিত ।এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সকল ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।

সিজারের কতদিন পর সেলাই শুকায়

সিজারের কতদিন পর সেলাই সুকাই তা নির্ভর করবে রোগীর ওপর বা তার খাবার নির্ভর এর ওপর। এমনকি তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর। যদি সে একজন সফল এবং সুস্থ মানুষ হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে তার সিজারের সেলাই শুকাতে কমপক্ষে তিন থেকে সাত সপ্তাহ লাগতে পারে।

কি খেলে সেলাই শুকায় সেলাই শুকানোর জন্য কিছু খাবার রয়েছে। যেমন ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গুলো বেশি পরিহারে গ্রহণ করতে হবে। যেমন লেবু। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। যদি আপনারা লেবু নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে দ্রুত সেলাই শুকাতে সাহায্য করে।

সিজারের পর সেলাইয়ের ব্যাথা হলে করণীয় কি

সিজারের পর সেলাইয়ের ব্যথা অনেকেরই কম বেশি দেখা যায়। কিন্তু আমরা এগুলোকে তেমন কিছু না মনে করে বাসায় বসে থাকি। এটি একেবারেই ভুল কাজ। কেননা সেলাইয়ের ব্যাথা যদি সৃষ্টি হয় তাহলে এখানে যেকোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ইনফেকশন এর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যদি আপনার সেলাইয়ের পর ব্যথা শুরু হয়ে যায় তাহলে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

এবং এটি যদি প্রচন্ড পরিমাণে আকার ধারণ করে। তাহলে তাৎক্ষণিক সেখানে হালকা গরম সেঁক দিতে পারেন। এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

সিজারের কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যায়?

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের বিভিন্ন অসচেতনতার কারণে হঠাৎ করে পেটে বাচ্চা চলে আসে। এর ফলে মায়ের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় এমনকি বাচ্চা দুর্বল এবং মায়ের শরীরের রক্তশূন্যতা এবং আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই যদি আপনি সিজারের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে কতদিন পর বাচ্চা নেওয়া যাবে এটি? আপনার জানা অত্যন্ত জরুরী।

বড় বড় চিকিৎসকের মত অনুযায়ী সিজারের পর কমপক্ষে দুই থেকে তিন বছর পর বাচ্চা নেওয়া যায়। কিন্তু যদি ভালোভাবে এবং সঠিক সময় বাচ্চা নেয়া যায় তাহলে সেটার বয়স দ্বারাই আড়াই থেকে তিন বছর।

সিজারের পর পেট কমানোর উপায়।

এখন আমরা জানবো সিজারের পর পেট কমানোর উপায়। কারণ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের বাচ্চা হওয়ার পর বা সিজার করার পর পেটে চামড়া ঢিল হয়ে ঝুলে যায় এর ফলে দেখতে অনেক খারাপ লাগে এবং বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তিকর মনে হয় ।

যদি কারো পেটের চামড়া গুলো ঝুলে যায় তাহলে টেনশন করার কোন কারণ নেই। কারণ এগুলো একটি সঠিক সময়ে এসে আগের মত রূপ ধারণ করবে। কিন্তু এর মধ্যে কিছু খাবার এবং কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো করার মাধ্যমে দ্রুত সিজারের পর পেটের চামড়া ঝুলে যাওয়া পেট কমানো যায়। সিজারের পর পেট কমানোর জন্য আপনারা লেবুর ট্রক খেতে পারেন। এতে করে দ্রুত পেট শুকিয়ে যাবে এমনকি কাটাও শুকিয়ে যাবে।

উপসংহার

আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মধ্যে আলোচনা করেছি যে সিজারের পর ইনফেকশনে ৬ টি লক্ষণ এবং সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে। যদি আপনারা এ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে আরো বিভিন্ন ধরনের তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর একটি কথা হলো যে আপনারা চেষ্টা করবেন যে নরমাল ডেলিভারিতে হওয়ানোর।

বর্তমানে এখন অনেক ক্লিনিক রয়েছে যেগুলোতে যদি কোন রোগীকে ডেলিভারি করানোর জন্য ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে তারা বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়ে এবং বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখিয়ে তারা সিজারের দিকে নিয়ে যায় ।এবং সিজার করে ফেলে। এটি থেকে আপনারা বিরত থাকবেন। কারণ সিজার এটি পরে একটি মায়ের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

Leave a Comment